ফার্নিচার তৈরির জন্য কোন ধরনের কাঠ সবচেয়ে ভালো


প্রাচীনকাল হতে মানুষ বাড়িতে দরজা, জানালা, দেওয়াল , মেঝে, আসবাব পত্র, খুঁটি, চোকাট, ইত্যাদি কাঠ দিয়ে তৈরি করে আসছে। আমরা সাধারণত গাছ থেকে কাঠ পেয়ে থাকে।রড, সিমেন্ট পাথর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ সামগ্রী এর পাশাপাশি কাঠের ব্যবহার করা হচ্ছে। কাঠের তৈরি জিনিসপত্র মজবুত ও টেকসই হয়। এজন্যই মানুষ কাঠ দিয়ে ফার্নিচার তৈরি করে থাকে। কাঠের ফার্নিচারের বিভিন্ন রকমের ডিজাইন করা যায়। অন্য জিনিসের ডিজাইন করা যায় না।
কাঠের ফার্নিচার

ভূমিকাঃ

ফার্নিচার তৈরির জন্য যে সমস্ত কাঠ ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাঁঠাল, সেগুন, মেহগনি, আকাশমনি, শাল,গর্জন, কড়াই, জাম ও আম কাঠ। ফার্নিচার তৈরির জন্য সবচেয়ে ভালো কাঠ হচ্ছে সেগুন কাঠ। সেগুন কাঠের দাম বেশি। মেহগনি কাঠ ও আকাশ মনি কাঠের দাম বেশি। আম ও কাঠাল কাঠের তুলনায় সেগুন কাঠের ফার্নিচারের দাম অনেক বেশি।ফার্নিচার তৈরিতে যেহেতু কাঠি প্রধান সেজন্য আমাদের ভালো কাঠ নির্বাচন করতে হবে। এজন্য আমরা সেগুন কাঠ নির্বাচন করতে পারি।

কাঠের সুবিধা সমূহ

  • কাঠ সহজে সব জায়গায় পাওয়া যায়।
  • পুনঃ বিক্রয় মূল্য অধিক।
  • বড় থেকে ছোট করা যায় খুব সহজে এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া যায়।
  • ফার্নিচারের কোন অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সেই অংশটি মেরামত করা যায়।
  • কাঠের ফার্নিচারে নিখুঁতভাবে নকশা করা যায়।
  • সহজে জোড়া লাগানো যায়।
  • কাঠের ফার্নিচার ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  • কাঠের ফার্নিচার খুব মজবুত এবং শক্তিশালী হয় সহজে নষ্ট হয় না।
  • ভালো শব্দ নিয়ন্ত্রক।
  • এই ফার্নিচারের সঙ্গে লোহার প্লেট লাগিয়ে রাখলে আরো শক্তিশালী হবে।

বিভিন্ন প্রকার কাঠের ব্যবহার

  • ঘরের আসবাবপত্র তৈরির জন্য মূলত সেগুন, মেহগনি, কড়াই, কাঁঠাল ও আকাশ মনি কাঠ ব্যবহৃত হয়।
  • ঘরের দরজার চৌকাট তৈরিতেঃ জাম, গজারি, মেহগনি, কড়াই ইত্যাদি কাঠ ব্যবহৃত হয়।
  • দরজার পাল্লার কাজেঃ শাল,সেগুন,গামারি কাঠ ব্যবহৃত হয়।
  • বাড়ি নির্মাণ কাজের সাটারিং তৈরিতেঃ কমদামি কাঠ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ভালো কাঠ শনাক্তকরণ পদ্ধতি

কাঠের রং, আঁশ, গন্ধ,ফাটল ও ওজন ইত্যাদি দেখে ভালো কাঠ সনাক্ত করতে হবে। এগুলো শনাক্ত করতে না পারলে আপনাকে খারাপ কাঠ দিয়ে দিবে। কাঠের রঙের ব্যাপারেও জানতে হবে। কোন কাঠের রং কেমন। যেমন- কাঁঠাল কাঠ হলদে রং এর হয়ে থাকে, মেহগনি, গজারি হালকা কালচে ও হলদে রং এর হয়ে থাকে। শিলকড়ি অনেকটা খয়েরি রঙের হয়ে থাকে।

কাঠে কিছু সমস্যা দেখা যায়, কাঠ ব্যবহারের পূর্বে এই সমস্যাগুলো আছে কিনা দেখে ব্যবহার করতে হবে। সমস্যা গুলো নিম্নরূপঃ
  • গিট
  • ফাটল
  • উল্টা বা মোচড়ানো আঁশ
  • বেঁকে যাওয়া

সেগুন কাঠের ফার্নিচারঃ

ফার্নিচার তৈরির জন্য সবচেয়ে ভালো কাঠের নাম হচ্ছে সেগুন কাঠ ।সেগুন কাঠ অন্য কাঠের চাইতে অনেক মজবুত এবং সেই সাথে সুন্দর প্রাকৃতিক টেক্সারে ভরা। এই টেক্সচার দেখে সবাই বলে দিতে পারে যে এটা কোন কাঠের তৈরি ফার্নিচার। সেগুনে গিট বা ফাটলের সংখ্যা খুবই কম। সে গুনে উল্টা বা মোচড়ানো আঁশ নেই। সেগুনে আঁশ খুবই মিহি।

 তাপমাত্রার ব্যবধানে সেগুন কাঠ বেঁকে যায় না। সেগুন কাঠে নিখুঁতভাবে আধুনিক ডিজাইন করা যায়। সেগুন কাঠের ফার্নিচার অনেক টেকশই। এর জন্য অনেকেই এই কাঠ দিয়ে ফার্নিচার তৈরি করতে চাই।দাম বেশি হওয়ার কারণে এই কাঠ দিয়ে অনেকেই ফার্নিচার তৈরি করতে পারে না।

শেষ কথা

প্রত্যেকটা মানুষের কাছে কাঠের ফার্নিচার খুবই পছন্দের।কিন্তু সবাই কি এটি তৈরি করতে পারে না এটি তৈরি করতে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়। এজন্য এখন কাঠের বদলে বিভিন্ন রকমের বোর্ডের ফার্নিচার তৈরি করে থাকে। কারণ এগুলোর দাম অনেকটাই কম। বোর্ডের ফার্নিচার টেকসই হয় না। কাঠের ফার্নিচার টেকসই হয়। টেকসই এর কারনে কাঠের ফার্নিচার মানুষ বেশি পছন্দ করে। কারণ এটার কালার নষ্ট হয়ে গেলে আবার কালার করলেই নতুন হয়ে যাবে।

এতক্ষণ আমার সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url